শিরোনাম:
ফেক আইডি ফাঁসের জেরে অপপ্রচারের শিকার তরুণ উদ্যোক্তা জাদুকাটা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ ও অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের দাবি ইজারাদারদের তাহিরপুরে পাওনা টাকার জেরে সংঘর্ষে আহত বৃদ্ধের মৃত্যু, ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সুনামগঞ্জের নদীর পাড়ে ময়লার স্তুপ: ঝুঁকিতে জলজ জীবন ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ‘বাঁধ ভাঙলে বিলীন হবে প্রজন্ম’ধোপাজানের ভাঙনে হাহাকার ১৫ গ্রামজুড়ে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে যাদুকাটা নদীতে বাঁশের বেড়া স্থাপন, অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের দাবি ইজারাদারের সুনামগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী সাইবার দলের কমিটি ঘোষণা বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে সুনামগঞ্জে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পান্ডারখাল বাঁধে ইট-বালুর স্তুপ: হারাচ্ছে পর্যটন সম্ভাবনা ও পরিবেশ সুনামগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলার মামলায় নতুন মোড় পুনরায় তদন্তে নেমেছেপিবিআই

দোয়ারাবাজারে খাসিয়ামারা নদী থেকে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

দোয়ারাবাজার প্রতিনিধিঃ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার খাসিয়ামারা (মরা) নদী থেকে নিখোঁজ এখলাছ মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে দোয়ারাবাজারের শরীফপুর মোল্লাবাড়ী এলাকায় খাসিয়ামারা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে দোয়ারাবাজার ফায়ার স্টেশনের তত্ত্বাবধানে সুনামগঞ্জ ডুবুরি দল ।

দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা যাওয়া এখলাছ মিয়া, উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত নুর ইসলামের ছেলে।

স্থানীয়দের তথ্যানুযায়ী মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে পরে নিখোঁজ হয়ে যান এখলাছ। ঘটনার সময় ছিল তার দুই বছরের সন্তান আজিদুর রহমান তার সাথেই নৌকায় ছিলো।

তার জানান, সকাল ৮টার দিকে এখলাছ মিয়া তার চাচাতো ভাই ফারুক মিয়ার বাড়ির পাশে ছোট একটি ডিঙ্গি নৌকায় চেলা জাল নিয়ে মাছ ধরতে যান। কিছুক্ষণ পর প্রতিবেশী জালাল আহমেদ নদীতে অন্য নৌকায় নিয়ে যাওয়ার পথে শিশু আজিদুরকে নোকায় বসে কাঁদতে দেখে চিৎকার করেন এবং জানতে চান—”এটা কার বাচ্চা?” পরে স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক মিয়ার বাড়ির লোকজন ছুটে এসে বাচ্চাটিকে দেখেন এবং কান্নার কারন জানতে চায়।তখন শিশুটি ইশারায় জানায় যে তার বাবা পানিতে ডুবে গেছে। এরপর এখলাছ মিয়াকে খোঁজতে জাল ফেলে এবং বিভিন্ন উপায়ে চেষ্টা চালায় স্থানীয় লোকজন।সকাল ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে।

দোয়ারা বাজার ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার আব্দুল হান্নান বলেন, “আমরা স্থানীয়দের সহায়তায় প্রথমে অনেক চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু লাশ না পাওয়ায় সুনামগঞ্জ থেকে ডুবুরি দল আনি। প্রায় তিন ঘণ্টার প্রচেষ্টায় দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে লাশটি উদ্ধার করা হয়।” উদ্ধার অভিযান শেষে লাশ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হক জানান, উদ্ধারকৃত লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ পাঠানো হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এখলাছ মিয়া উচ্চ রক্তচাপের রোগী ছিলেন, এটাই তার দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।